ঢাকা, রূপশ্রী ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় নারীদের জয়জয়কার। ২০ সদস্যের মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রী, উপ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র, বিচার, শিক্ষাসহ রেকর্ড ১১ মন্ত্রী পদে নারীদের বেছে নিয়েছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। গতকাল শনিবার দায়িত্ব গ্রহনের ২৪ ঘণ্টার মধ্য নতুন এ মন্ত্রিসভা গঠন করলেন লেবার পার্টির নেতা। আজ রবিবার (৭ জুলাই) মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকও করেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স, বাংলাদেশ প্রতিদিন
খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে অ্যাশটন-আন্ডার-লিনের এমপি অ্যাঞ্জেলা রেইনাহকে। মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বড় চমকের নাম র্যাচেল রিভস। দেশটির প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। তাঁকে দেশটির চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার (রাজকোষের চ্যান্সেলর) বা অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ৮০০ বছরের ইতিহাসে ৪৫ বছর বয়সি রিভসই প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী। এটি যুক্তরাজ্য সরকারের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ।
স্টারমারের মন্ত্রিসভায় লেবার পার্টির অন্যতম শীর্ষ পদধারী নারী ৫৫ বছর বয়সি ইয়েভেত্তে কুপার দেশটির নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। অভিবাসন নীতির যেসব কার্যক্রম এখনো ঝুলে আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবেন তিনি।
ব্রিটেন সরকারের নতুন শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন ৪০ বছর বয়সি নারী ব্রিজেট ফিলিপসন। তিনি স্টারমারের খুবই ঘনিষ্ঠ।
বিচারমন্ত্রী করা হয়েছে আফগান বংশোদ্ভূত মুসলিম নারী শাবানা মাহমুদকে। ৪৩ বছর বয়সি তুখোড় এ আইনজীবী অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন।
সাবেক কনজারভেটিভ নেত্রী লিজ ট্রাসের পর তিনিই দ্বিতীয় নারী হিসেবে এ দায়িত্ব পেলেন।
অন্যদিকে শ্রম এবং কারামন্ত্রী হয়েছেন লিজ কেনডাল। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, অসুস্থতাসংক্রান্ত সুবিধা বিল শ্রুম আইনের অধীনে পড়বে।
মন্ত্রিসভায় পরিবহনমন্ত্রীর পদ পেয়েছেন একজন নারী, লুইস হেইঘ। সব বেসরকারি রেল অপারেটিং কোম্পানি ধীরে ধীরে গ্রেট ব্রিটিশ রেলওয়ের আওতায় চলে আসবে বলে জানিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সি হেইঘ। আগামী চার বছরের মধ্যে এ-সংক্রান্ত সব চুক্তি শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ওয়েলসবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ৫৭ বছর বয়সি জো স্টিভেনস। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ওয়েলস এবং যুক্তরাজ্য সরকারের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্কের জন্য কাজ করে যাবেন।
লিসা ন্যান্ডিকে যুক্তরাজ্য সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে। এর আগে ৪৪ বছর বয়সি নারী লিসা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ছায়া মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন লুসি পাওয়েল। ম্যানচেস্টার সেন্ট্রাল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৪৯ বছর বয়সি এ নারী।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাঞ্জেলা লেডি স্মিথ (৬৫)। তিনি ১৪ বছর ধরে লর্ডসের সদস্য।
যুক্তরাজ্যে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৪১২ আসনে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১ আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনো দলের প্রয়োজন হয় ৩২৬ আসন। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে টানা ১৪ বছর পর ক্ষমতা থেকে সরে গেল কনজারভেটিভ পার্টি।