রূপশ্রী প্রতিবেদন
বুধবার (১০ মার্চ), ঢাকা:
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নারী উদ্যোক্তাদের সামনে এগিয়ে নিতে নারীবান্ধব নীতি গ্রহণ জরুরি। নারীবান্ধব রাজস্ব নীতি গ্রহণের পাশাপাশি কর আরোপ প্রক্রিয়ার সহজীকরণ প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক কোভিড সংকট মোকাবেলায় ঘোষিত প্রণোদনা মাঝারি ও ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাগণ যেন সহজে পেয়ে উপকৃত হতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা দরকার। ডিজিটাল ডিভাইডের শিকার হয়ে নারীরা যেন তথ্য-প্রযুক্তিতে পিছিয়ে না পরে সেদিকে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান স্পিকার।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২১ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়ে গেছেন নারী-পুরুষ সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার আইনী কাঠামো ও প্রতিষ্ঠানিক ভীত। নারী-পুরুষ সকলের মৌলিক অধিকার তিনি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে গেছেন। এই আইনী কাঠামোর ভীতের উপর দাঁড়িয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের নারী সমাজ।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই আজ নারীদের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রেই নারীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের নজির দৃশ্যমান। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ জাতীয় সংসদে পঞ্চাশ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের পাশাপাশি তেইশ জন নারী সরাসরি নির্বাচিত, যা জাতির পিতার সুগভীর প্রজ্ঞা ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তার ফল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নে যে কাজ করছেন, তা সমগ্র বিশ্বে প্রশংসিত। ফলস্বরূপ তিনি সাউথ সাউথ এওয়ার্ড, প্ল্যানেট ফিফটি চ্যাম্পিয়ন এওয়ার্ড, এজেন্ট অফ চেঞ্জ এওয়ার্ড, গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ এওয়ার্ড ২০১৮-সহ অনেক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। কোভিড মোকাবেলায় অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য সম্প্রতি কমনওয়েলথ কর্তৃক বিশ্বের তিনজন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অন্যতম হিসেবে ইন্সপাইরেশনাল লিডারশিপ সম্মাননা তিনি অর্জন করেছেন যা সমগ্র জাতির জন্য গৌরবের।
স্পিকার আরো বলেন, নারীদের অধিকতর অগ্রগায়নের জন্য অবকাঠামোগত সকল সুবিধা নিশ্চিত জরুরি। তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ তৃণমূল নারীদের জন্য অবারিত করতে হবে যেন তারা নিজেদের জীবনমান উন্নয়নে তা কাজে লাগাতে পারে। তিনি শ্রমবাজারে নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ড. সুলতানা শফি-র সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি-র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সাফিয়া খাতুন এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা বেগম বক্তব্য রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
রূপশ্রী/দেশ/এইচবি